অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, বিডিবিএল এবং বেসিক ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত ছয়টি পৃথক চিঠি ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানি বিভাগ।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডিও) ও সিইও পদে নিয়োগ পেলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. শওকত আলী খান, জনতা ব্যাংকের ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মো. মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ডিএমডি মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিএমডি মো. আ. রহিম।
এছাড়া, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেলেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জসীম উদ্দিন এবং বেসিক ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ পান জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. কামরুজ্জামান।
এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মীর মোফাজ্জল হোসেনকে আনসারি-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি সালমা বানুকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এমডি, সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সঞ্চিতা বিনতে আলীকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডিএমডি চানু গোপাল ঘোষকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে (এমডি) অপসারণ করে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। গত এক মাস রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এমডি ছাড়াই চলেছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতাও সৃষ্টি হয়েছে বলে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী পদত্যাগে বাধ্য হন। আর ব্যাংকটির এমডি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আফজাল করীমকে। সোনালী ব্যাংকে সদ্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। তার বাড়ি চট্টগ্রামে।
জানা গেছে, সরকারি ব্যাংকের মধ্যে নাজুক অবস্থায় আছে বেসিক ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক। বেসিক ব্যাংকের ৬৫ শতাংশ ঋণ এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে, যার পরিমাণ ৮ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। গত জুনে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক শতাংশ বা ৪৮ হাজার কোটি টাকায়। এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে খেলাপি ঋণ।