নিজস্ব প্রতিবেদক :‘জেড ক্যাটাগরি’তে স্থানান্তরিত যেসকল কোম্পানি অনুমোদিত লভ্যাংশের নূন্যতম ৮০ শতাংশ বিতরণ নিশ্চিত করেছে সেসব কোম্পানিকে প্রযোজ্য ক্যাটাগরিতে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। রোববার (২০ অক্টোবর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯২৭তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ‘জেড ক্যাটাগরি’ থেকে প্রযোজ্য ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ সমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ০২ জুলাই থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়।
বিএসইসির এ নীতিমালায় বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানি শেষ লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ থেকে বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে পরপর ২ বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফলে, গেল সেপ্টেম্বরে একযোগে ৩০ কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগারি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারে মার্জিন ঋণ না দিতে ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হওয়ায়, পর পর ২ বছর লভ্যাংশ না দেওয়া, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা এবং সম্পদের চেয়ে দায় বেশি থাকা ইত্যাদি কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি।
অন্যদিকে, সভায় কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ‘পিএলসি’ যুক্ত করার জন্য নাম পরিবর্তন জনিত কোন ধরণের ফি আদায় না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।