অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : বৈদেশিক মুদ্রায় পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি তহবিল ‘লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটিজ’ (এলটিএফএফ) থেকে ডলারে বেসরকারি ১৮ বাণিজ্যিক ব্যাংক অর্থায়ন সুবিধা পাবে। রপ্তানিমুখী উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে এসব ব্যাংক থেকে ঋণ পাবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বেসরকারি খাতের এসব ব্যাংকগুলোর একটি চুক্তি হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ তহবিল থেকে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ডলার ঋণ পাবে। এছাড়া সিন্ডিকেট ঋণে ১ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থায়ন পাবে। এ ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১০ বছর, যার মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ১ বছর।
এদিকে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটের (এসওএফআর) সঙ্গে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১.২৫ শতাংশ সুদ যোগ করে তহবিল পাবে ব্যাংক। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ যোগ করে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা যাবে। একজন উদ্যোক্তা ১০ বছর মেয়াদে ঋণ গ্রহণ করলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৮.৪৩ শতাংশ। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী (৬ আগস্ট) এসওএফআর রেট ৫.১৮ শতাংশ।
চুক্তিতে সই করা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বশর এবং দেবদুলাল রায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ স্ব স্ব ব্যাংকের পক্ষে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে পরিচালক লিজা ফাহমিদা।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ৫৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ৩ থেকে ১০ বছর মেয়াদে ২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান সফলভাবে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করেছে এবং বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছে।