মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : গত দু‘দিনে বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে এলো ৫শ‘ ৯৩ টন কাঁচা মরিচের বিশাল চালান। বেনাপোল দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় বন্দরের বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে স্বস্তির নিঃশ্বাস । সবাই আশা করছেন এবার দাম কমবে নিত্য প্রয়োজনীয় এই কাঁচা মরিচের। বর্তমানে বেনাপোলসহ আশেপাশের বাজারে ৪০০ টাকা কেজিকে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
দেশে অস্থিতিশীল কাঁচা মরিচের বাজার যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সে মুহূর্তে অস্থিতিশীল কাঁচা মরিচের জোগান দিতে এগিয়ে এলো প্রতিবেশী ভারত। ভারতে দুর্গা পুজোর কারনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর বন্ধ ছিল গত ৫ দিন। সোমবার বন্দর খুলে যাওয়ায় একদিনেই ভারত থেকে এলো ৫৮২ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ। ৫০টি ট্রাকে সোমবার বেনাপোল বন্দর থেকে কাঁচা মরিচ বোঝাই ট্রাকগুলো খালাশ করে নিয়ে গেছে আমদানিকারকরা।
বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দেশের ২৮ জন আমদানিকারক সোমবার দুই কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করেন। প্রতিটনের আমদানি মূল্য ৬০ হাজার টাকা। আমদানি শুল্ক প্রায় ৩৬ হাজার টাকা এবং শুল্ক ৩৬ টাকা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩টি ভারতীয় গাড়িতে ১১ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। শুল্ক করাদি পরিশোধ করে সন্ধ্যার আগেই মরিচ বোঝাই গাড়ি বন্দর এলাকা ত্যাগ করবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
বন্দর এলাকার শ্রমিক, সাধারন মানুষ, বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, পুজার ছুটিতে টানা ৫দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কোন কাঁচামাল বেনাপোল দিয়ে আমদানি হয়নি। এর ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে কাঁচা মরিচের দাম। সোমবার ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এ ভাবে আমদানি বাড়লে কাঁচা মরিচের দাম অনেকাংশে কমে আসবে বলে তারা জানায়।
মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত থেকে সোমবার ও মঙ্গলবার দু‘দিনে ৫‘শ ৯৩ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছে। সোমবার ৫০ ট্রাকে ৫৮২ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে গেছে আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১১ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। সেগুলো খালাসের অপেক্ষায় থাকে। আরো কিছু কাঁচা মরিচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যা সন্ধ্যানর আগেই খালাস করে নিয়ে যাবে আমদানিকারকরা।