স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি মাসেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। তার আগেই চাকরি হারালেন লঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহে। এতে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রধান কোচের দায়িত্ব পাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্স। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুকে ছাঁটাইয়ের খবরটি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
ফিল সিমন্সকে নিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন সময় কয়েকটি দেশের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই মেয়াদে ছিলেন। এখনও পাকিস্তানে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন। তার কোচিং ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ। তা ছাড়া এটি লম্বা সময়ের জন্য না। অন্তবর্তী কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সে কঠোর প্ররিশ্রমী। তার কাজের ধরন আমি দেখেছি। যখন জিম্বাবুয়ে খেলতে এসেছিল, আমি ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেছি। কিভাবে সে চিন্তা করে, অনুপ্রেরণা জোগায় সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। এগুলো দেখে আমার ভালো লেগেছে। তার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। সবকিছু মিলিয়ে এখন সেরা অপশন।
টাইগারদের নতুন হেডমাস্টার হিসেবে সিমন্সকে প্রায় ১০০ দিনের চুক্তিতে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবেন। এখনই লম্বা সময়ের জন্য তাকে চাইছে না বিসিবি।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউ গিনির হেড কোচের ভূমিকায় ছিলেন ফিল সিমন্স। এর আগে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হেড কোচ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগে ২০০৪-০৫ সালে জিম্বাবুয়ের কোচের দায়িত্বে ছিলেন সিমন্স। কাজ করেছেন আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মতো দলের সঙ্গেও।
সিমন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে মোট ১৬৯ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ১৪৩ ওয়ানডের সাথে সাদা পোশাকে ম্যাচ খেলেছেন ২৬টি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কোচিংয়ে নাম লেখান। তার অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে। এ ছাড়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ছিলেন সিমন্স।
আরও পড়ুন: