শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্সের গোডাউনে ট্রাক লাগিয়ে গোডাউন থেকে ভূট্টা চুরি করার সময় এলাকাবাসী চোরকে ধাওয়া করলে ট্রাক রেখে চোর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে শেরপুর থানা পুলিশ খানপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া (বথুয়াবাড়ি) থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করে থানা হেফাজনে রাখে।
জানা যায়, শেরপুর টু ধুনট আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন গোডাউন থেকে ভূট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়। শনিবার রাতে খানপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া (বথুয়াবাড়ি) গ্রামে রাত ১টার দিকে ৫-৬ জন চোর মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্সের গোডাউনে ট্রাক (ঢাক-মে-ড-১২-৩১০২) লাগিয়ে গোডাউন থেকে ভূট্টা চুরি করছিল। স্থানীয় আইয়ুব আলী (৩৫) বিষয়টি দেখে ফেলায় তাকে গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে গোডাউনে রাখে । পরে স্থানীয় হাতেম আলী ও ও তার স্ত্রী সাথী গোডাউনের সামনে লাইট বন্ধ দেখে তাদের সন্দেহ হয়। গাড়ি চলাচলের লাইটের আলোতে চুরির ঘটনা দেখতে পায়। পরে মোবাইলে মোবাইলে লোকজন জরো করে তাদের ধরার জন্য এলাবাসী এক যোগে আসলে তারা ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যায়।
হাতেম আলী ও তার স্ত্রী সাথী বলেন, আমরা লাইট জালিয়ে দিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে লাইট বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। পরে দেখি চোর তালা ভাঙ্গা ভুট্টা লোড করা শুরু করছে। তখন মালিক ও স্থানীয়দের দিয়ে বাহির হলে তারা পালিয়ে যায়।
মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্সের প্রোপাইটর হাফিজুর রহমান বলেন, গোডাউনে ভুট্টা রাখা আছে। গত বৃহস্পতিবার কিছু গাড়ি আনলোড দিয়ে তালা দিয়ে আমরা বাড়িতে চলে যায়। রাত ২টার দিকে আমাদের কাছে স্থানীয় লোকজন ফোন করে বলেন গোডাউনে ট্রাক লাগিয়ে ভুট্টা চুরির জন্য এসেছিল আমরা স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তারা ট্রাক রেখে পালিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় অনেকে আরো জানান, এর আগে হক ট্রেডার্স, মোজাম্মেল হকের গোডাউন, শালফা এলাকার সাইদুল ইসলামের গোডাউন, বথুয়াবাড়ী এলাকার মিলন ও ধনুট এলাকার শামীম সরকারের গোডাউন থেকে থেকেও ভূট্টা ও সরিসা চুরি হয়েছে। এই চোর সিন্ডিকেটকে ধরতেই হবে। ট্রাকের মালিককে বাহির করলেই তারা ধরা পড়বে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, ট্রাকটি আটক রাখা আছে। এই সিন্ডিকেটকে ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। আর মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্সের প্রোপাইটর হাফিজুর রহমান যদি মামলা করেন তাহলে মমলা হবে।