October 7, 2024 - 9:29 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআন্তর্জাতিকফ্রান্সের বিমানবন্দর থেকে টেলিগ্রামের সিইও গ্রেপ্তার

ফ্রান্সের বিমানবন্দর থেকে টেলিগ্রামের সিইও গ্রেপ্তার

spot_img

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভকে প্যারিসের বাইরে বোরগেট বিমানবন্দর থেকে শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টিএফ-১ টিভি ও বিএফএম টিভির সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

টিএফ-১ টিভি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ফ্রান্সের পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পাভেল দুরভকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত বিমানে করে ফ্রান্সের বাইরে যাচ্ছিলেন।

দুটি টেলিভিশন চ্যানেলেরই তথ্য অনুসারে, টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে অপর্যাপ্ত মডারেটরের কারণকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই তদন্ত চলছিল। ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে এই ধরনের দুর্বলতার কারণে তা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে বাধাহীনভাবে চলতে সাহায্য করবে বলে বিবেচনা করা হয়।

এনক্রিপটেড টেলিগ্রামের ইউজার সংখ্যা প্রায় শত কোটি এবং এটি রাশিয়া, ইউক্রেন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি প্রজাতন্ত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মটির অবস্থান ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও উইচ্যাটের পরেই।

পাভেল দুরভের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পর্কে রয়টার্স, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

২০১৩ সালে রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী দুরভ তার ভাইয়ের সঙ্গে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ২০১৪ সালে ভি-কন্টাকটে নামের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে রাশিয়ার বিরোধী দলের লোকজনের তথ্য সরবরাহ কাজ বন্ধ করতে সরকারি নির্দেশনা মানতে রাজি না হওয়ার পরপরই তিনি দেশ ছেড়ে যান।

গত এপ্রিলে দুরভ মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে বলেছিলেন, ‘আমি কারও আদেশ মেনে কাজ করার চাইতে মুক্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করব।’ বার্লিন, লন্ডন, সিঙ্গাপুর ও সানফ্রান্সিসকোতে তার কোম্পানির জন্য বাড়ি খুঁজে না পেয়ে তিনি এ কথা বলেছিলেন।

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে টেলিগ্রাম অপরিশোধিত ও বিভ্রান্তিকর আধেয় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যুদ্ধরত দুটি পক্ষের কাছেই খবরের প্রধান উৎস হয়ে ওঠে।

কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, টেলিগ্রাম প্লাটফর্ম ইউক্রেনে চলতে থাকা যুদ্ধের জন্য একটি ‘ভার্চুয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিণত হয়। টেলিগ্রাম খুব বেশি ব্যবহার করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জলেনস্কি ও তার কর্মকর্তারা। পাশাপাশি রাশিয়ার সরকারও এটি ব্যবহার করে থাকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ