বিনোদন ডেস্ক : দেশৈর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান। সারা দেশজুড়ে রযেছে তার শ্রোতা। এক গানের পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতেও। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অভিমানে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান এ গায়ক। এবার অভিমান ভুলে আবারও রাজনীতিতে ফিরছেন মনির খান।
তবে সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমকে রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে মনির খান বলেন, আমি ঘরের ছেলে ঘরেই আছি। মাঝে দলের সঙ্গে অভিমান ছিল। আর অভিমান তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও হয়। সেটা আবার মিটে যায়। আমার বেলায়ও সেটাই হয়েছে। তা ছাড়া আমি তো অভিমান করে অন্য দলে যোগ দেইনি। বর্তমানে দলের সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। দলের দুঃসময়ে কাজ করেছি আমি। আমৃত্যু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গেই থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর। হ্যাঁ, ১৫ বছরই তো! বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট আর বোবা কণ্ঠ নিয়ে কেটে গেল এতোগুলো বছর। আমি একজন সংগীতশিল্পী। কিন্ত ‘বিটিভি, বেতার কেন্দ্র, শিল্পকলা এবং সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি এই সময়ে। এমনকি অনেক বেসরকারি অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়নি।
গায়ক আরও লেখেন, আমার নামে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতার মতো মিথ্যা, হাস্যকর রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। কী অপরাধ ছিল আমার? হয়তো ভিন্ন মতের মানুষ ছিলাম-এটাই ছিল আমার অপরাধ। কখনও বলিনি আমি।
মনির খান বলেন বলেন, ছাত্র ও তরুণ সমাজের আত্মত্যাগ ও আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে এখন বাক স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়েছে, তাই বললাম। শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় কোনো বাধা বা দেয়াল থাকতে নেই। শিল্পীর কণ্ঠকে রোধ করতে নেই। আশা করি স্বাধীনতার এই নতুন সূর্যের আলোয় নতুন করে পাখা মেলবে শিল্প-সংস্কৃতি।
উল্লেখ্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ছিলেন মনির খান। কিন্তু ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ায় অভিমানে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি ছেড়ে দেন এই গায়ক।