মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ব্লিচিং পাউডারের ড্রামের মধ্য থেকে ঘোষণা বহির্ভূত শাড়ি কাপড়ের চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটি মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আটক করা হয়েছে।
কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, খুলনাস্থ জালাল বাণিজ্য ভান্ডার নামে এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২০০ প্যাকেজের ব্লিচিংপাউডারের একটি পণ্য চালান ভারত থেকে আমদানি করেন। পণ্য চালানটি রফতানি করেছেন কলকাতার চারুবালা নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। যার ওজন ৩৩ হাজার ১২০ কেজি। পণ্য চালানটি গত ১৮ আগস্ট বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে বন্দরের ৩৫ নম্বর শেডে রক্ষিত ছিল। পণ্য চালানটি ছাড় করতে চৈতি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমস হাউজে দাখিল করেন।
পণ্য চালানটি ব্লিচিং পাউডার হওয়ায় ১৯ আগস্ট ট্রাক টু ট্রাক আনলোড হচ্ছিল খালাসের জন্য। এ সময় সরকারের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় পণ্য চালানের ড্রামের মধ্যে ব্লিচিং পাউডারের স্থলে শাড়ি কাপড়ের চালান আছে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে বন্দরের ৩৫ নম্বর শেড থেকে পণ্য বোঝাই ভারতীয় দুটি ট্রাক আটক করে বেনাপোল কাস্টম হাউসে নিয়ে আসা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পণ্য চালানটি ইনভেন্টি (শতভাগ পরীক্ষা) করার সময় বিøচিং পাউডারের ড্রামের মধ্যে বালি ও বিপুল পরিমাণ শাড়ি কাপড় পাওয়া যায়। তবে পণ্য চালানে কি পরিমান শাড়ি কাপড় আছে তা ইনভেন্টি শেষ না করে বলা সম্ভব নয়। আর কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল সেটাও ইনভেন্টি শেষে শুল্কায়ন করে বলা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইনভেন্টি চলছিল।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার মোঃ শাফায়েত হোসেন জানান, আমদানিকৃত বৈধ পণ্যের মধ্যে ঘোষনা বহির্ভূত শাড়ি কাপড় পাওয়া গেছে। পণ্য চালানটিতে কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল সেটা ইনভেন্টি শেষে বলা সম্ভব। পণ্য চালানের মধ্যে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়ায় আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।