বিনোদন ডেস্ক : ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসে মৃত্যু হয় অনেক গার্মেন্টস কর্মীর। এ ঘটনার ১৭ দিন পর সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। রেশমা নামের সেই মেয়ে ও পুরো বিষয়টি নিয়ে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’। সিনেমাটির প্রধান দুটি চরিত্র অভিনয় করেছেন পরীমণি ও সাইমন সাদিক। কিন্তু সিনেমা মুক্তির ১০ বছর পার হলেও পায়নি সেন্সর ছাড়পত্র।
সিনেমাটি মুক্তির আশায় নির্মাতা নজরুল ইসলাম খান আদালতে গিয়েও লাভ হয়নি। ২০১৫ সালের ১১ জুলাই ছাড়পত্র পেলেও ২৪ আগস্ট মুক্তির ঠিক আগের দিন হুট করেই সিনেমাটির প্রদর্শনীতে আসে নিষেধাজ্ঞা । সেন্সরবোর্ডের এমন নাটকীয়তা ও অপেশাদার আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নির্মাতা নজরুল ইসলাম খান।
জানা যায়, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর ‘রানা প্লাজা’ সিনেমাটি আবার সেন্সর বোর্ডে জমা দিবেন নির্মাতা নজরুল।
নজরুল জানালেন, বহু চেষ্টা করেও গত ১০ বছর তারা সিনেমাটির সেন্সর ছাড়পত্র পাননি। বোর্ডের সদস্যরা তাদের সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখেছেন, চোখের পানি ফেলেছেন, বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন, দারুণ চলচ্চিত্র। অথচ পরের দিন জানানো হয়, ছাড়পত্র দিতে ওপর থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
নির্মাতা আরও বলেন, ‘হাইকোর্টেও গিয়েছিলাম। লাভ হয়নি। কে ছিল এর বিরুদ্ধে সেটাও আমাকে বলা হয়নি। দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি ছবিটি মুক্তি দেওয়ার জন্য। মন্ত্রীদের কাছেও গিয়েছিলাম। কেউ আমার পাশে দাঁড়াননি। এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারছে, নিজের মতপ্রকাশ করতে পারছে। আশা করছি, আমিও সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার স্বাধীনতা পাব।’