অনলাইন ডেস্ক: আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেক ডিজঅনার মামলায় চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার গুলশান-১ এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এদিন সমন জারি হওয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, আইপিডিসি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যেটি সারাদেশে অর্থ জমা, ঋণ, বিনিয়োগ, মুদ্রা বিনিময়ের মতো আর্থিক লেনদেন করে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৩ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ও ২০২৩ সালের (সংশোধিত) ব্যাংক কোম্পানি আইনের অধীনে পরিচালিত। এবং এর সদরদপ্তর হোসনা সেন্টার (৪র্থ তলা), ১০৬ গুলশান এভিনিউ, ঢাকা-১২১২। এছাড়া সারাদেশে এর আরও শাখা রয়েছে।
মামলার বাদী এম এম মুশফিকুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, অভিনেত্রী মৌসুমীর বিরুদ্ধে চেক ডিজ-অনারের অভিযোগে একটি মামলা করেছি। মৌসুমীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের আইনজীবী আবু আল নাহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা হয়েছে। এ মামলায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এদিকে মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার পর নায়িকার স্বামী নায়ক ওমর সানী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু এই কয় টাকার জন্য মৌসুমী বা ওমর সানী কেউই দেশ ছেড়ে পালাবে না।
এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতিমাসে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দেই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে তারা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। উল্টো মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভেবেছে, মৌসুমী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমরাও হয়তো পালিয়ে যাব। কিন্তু মৌসুমী বা ওমর সানী এত অল্প কিছু টাকার জন্য দেশ ছেড়ে পালাবে না।