নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী এবং আমেরিকার প্রেসিডেনশিয়াল ও কংগ্রেশনাল এওয়ার্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে কথিত দুনীর্তির মামলা চলছে। আমেরিকার দুই প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্টর্ লেডি হিলারি ক্লিনটন তার বন্ধুস্থানীয়। এছাড়াও অনেক সিনেটরের সাথে রয়েছে তার সখ্য। তার সাফল্যের পিছনে তার নিজের অবদানের পাশাপাশি আমেরিকার সহায়তাও অনেক কাজ করেছে। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে। মামলাও হয়েছে। কিন্তু অনেকেরই ধারণা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিবন্ধকতা মূলত ব্যক্তিগত কারণে। আবার অনেকে এইসব অভিযোগ স্বীকার করেন। তার কিছু প্রমাণও আছে।
গত ২ জুলাই সিনেটের মেজোরিটি হুইপ ডিক ডারবান অপর তিনজন সতীর্থ সিনেটরকে নিয়ে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন তার ওয়েবসাইটে। তাতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ড. ইউনূসকে হয়রানি না করার আহবান জানিয়েছেন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চারজন সিনেটর।
তারা হলেন- সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ হুইপ ডিক ডারবান (ডেমোক্রেট, ইলিনয়), সিনেটর জেফ মার্কলে (ডেমোক্রেট, অরেগন), টিম কেইন (ডেমোক্রেট, ভার্জিনিয়া) ও পিটার ওয়েলচ (ডেমোক্রেট, ভারমন্ট)। সিনেটর ডিক ডারবিনের ওয়েবসাইটে ২ জুলাই প্রকাশিত বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কোর্টে হাজিরা এবং তাতে সন্দেহজনক অভিযোগে তার ৬ মাস পর্যন্ত জেল হওয়ার ঝুঁকির প্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছেন তারা। আরও বলা হয়, কমপক্ষে এক দশক ধরে প্রফেসর ইউনূস তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০০ অপ্রমাণিত মামলার মুখোমুখি।
এর আগে তার বিরুদ্ধে এই হয়রানির নিন্দা জানিয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। এরমধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে এই কার্যক্রমের অনিয়মের বিষয়ে এরই মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো আমলে নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে এই আপাতদৃষ্টিতে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার অবসানে ব্যর্থতা সেই অংশীদারিত্বকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ডিক ডারবান যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৩ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের নেতৃত্ব দেন। বিশ্বব্যাপী দারিদে্র্যর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ তাকে ওই মেডেল দেয়া হয়। এর আগে প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লেখেন ডারবিন, মার্কলে, কেইন, ওয়েলচ, সিনেটর টড ইয়াং, ড্যান সালিভান, জেন শাহিন, এড মার্ক, শেরড ব্রাউন, শেলডন হোয়াইটস, রন ওয়েডেন এবং কোরি বুকার।