বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, মারধর ও চুরিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে গুলশান থানায় মামলাটি করেন মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা নামের এক ব্যবসায়ী। মামলা নম্বর ১৩/১৬৪।
মামলায় ববি হককে দ্বিতীয় আসামি করা হলেও প্রথম আসামি করা হয়েছে তার কথিত বন্ধু মির্জা আবুল বাসারকে।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াইএন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। রেস্টুরেন্টর নামকরণ করা হয় ‘ববস্টার’। রেস্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্তদের। তারা প্রথমে ১৫ লাখ পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও দুটি চেকই বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি-ধমকি দেন।
একপর্যায়ে বকেয়া ভাড়া ও অনিয়মের অভিযোগে ভবনটির মালিক রেস্তরাঁটি বন্ধ করার নির্দেশ দিলে মারামারির ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা মূলত ভবনটির মালিক।
এ বিষয়ে প্রথম মালিক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ববি আর বাশার মূলত ক্রেতা। তারা কেনার কথা বলেও টাকা পরিশোধ করেননি। পাশাপাশি জোর করে পেশীশক্তি খাটিয়ে রেস্টুরেন্টটা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
মামলা বিবরণীতে বলা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে মামলাটি করা হয়। এর তদন্ত করছেন গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ববিসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে জানা যায়, ববির বন্ধু আবুল বাসারের নামে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। আবুল বাশার বিটিএল গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির মালিক। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ববিকে নায়িকা করে ‘মাস্টার মাইন্ড’ নামে একটি সিনেমাও করার কথা ছিল তার। সেই সূত্রেই ববি ও বাশারের ঘনিষ্ঠতা।