গুলশান হামলার পর পুলিশ-র্যাব নিখোঁজ শতাধিক তরুণের তালিকা দিলেও তাদের কতজন জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। পরবর্তী সময়ে কতজন নিখোঁজ হয়েছেন তারও কোনো হিসাব নেই গোয়েন্দাদের কাছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে কেউ নিখোঁজ হওয়ার পর তথ্য না জানালে অভিভাবকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার পর সামনে আসে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জঙ্গিবাদে জড়ানোর তথ্য। পরিবার থেকে পালিয়ে অনেক তরুণের জঙ্গি তৎপরতায় জড়ানোর তথ্য পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় ৪০ জন নিখোঁজের তালিকা। অন্যদিকে র্যাব প্রথমে ২৬২ জনের তালিকা দিলেও পরে সংশোধন করে ৬৮ জনের নাম প্রকাশ করে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মুখে জঙ্গি তৎপরতার পাশাপাশি নিখোঁজ হওয়ার প্রবণতাও কমতে থাকে। তবে গেলো ১ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই রাজধানীর বনানীর একটি রেস্তোরা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন চার তরুণ। এরপর ৫ ডিসেম্বর বানানী থেকেই নিখোঁজ হন আরেক যুবক। এতে আবারও সামনে এসেছে তরুণদের নিখোঁজের বিষয়টি।
তিন মাস পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ পাঁচ যুবককে খুঁজে বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দাবী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসব ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন তরুণ নিখোঁজ হলেও এ বিষয়ে তথ্য দিচ্ছে না অনেকের পরিবার। এসব ক্ষেত্রে তথ্য গোপনকারী অভিভাবকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অভিভাবকদের উচিত নিখোঁজের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জঙ্গি নির্মূলে সহায়তা করা। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঠেকাতে সন্তানের প্রতি অভিভাবদের আরো মনোযোগী ও যত্নবান হওয়াও অত্যন্ত জরুরি।