কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে সই না করায় সরকারের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু করতে সলিসিটর উইংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের এই আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ আনা হতে পারে।
এর আগে ড. মোহম্মাদ ইনূসের বিষয়ে সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং তাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জন বিদেশি ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়ার কথা রয়েছে। সেখানে নোটিশ করা হয়েছে যে, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সকলকে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না। ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জন বিদেশি ব্যক্তি যে বিবৃতি দিয়েছেন; আমি তাদের সঙ্গে একমত।
প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এই খোলা চিঠির প্রতিবাদে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের বিবৃতি লেখা কাগজে আইনজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে আইনজীবীদের ‘নাম’ ও ‘স্বাক্ষর’-ঘর রয়েছে।
এদিকে এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে গত কয়েক দিনে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ দেশের ৫০ জন সম্পাদক।