নিজস্ব প্রতিবেদক : গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ৫ কোটি ডলার। নিট হিসাবে কমেছে এক কোটি ডলার। রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা আরও ৪ কোটি ডলার ফেরত আনায় নিট রিজার্ভ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৩ জুলাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৬৪ কোটি ডলার। ২৬ জুলাই ছিল ২ হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। ওই এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫ কোটি ডলার। একই সময়ের ব্যবধানে নিট রিজার্ভ ২ হাজার ৩৩১ কোটি ডলার থেকে কমে ২ হাজার ৩৩০ কোটি ডলারে নেমেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বকেয়া ঋণ পরিশোধ ও আমদানি দেনা মেটানোর কারণে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার দিতে হচ্ছে। এতে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া জুনের তুলনায় রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স দুটোই কমেছে জুলাইয়ে। এতে রিজার্ভে চাপ বেড়েছে।
এরই মধ্যে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হুন্ডির বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ বেড়েছে। জুলাইয়ে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ডলার। জুনে হয়েছিল ৫০৩ কোটি ডলার ও মে মাসে হয়েছিল ৪৮৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে মে ও জুনের চেয়ে জুলাইয়ে রপ্তানি আয় কমেছে। তবে এপ্রিলের তুলনায় বেড়েছে। আবার গত নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি আয় প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি ছিল। সে হিসাবে ওই মাসের তুলনায়ও রপ্তানি আয় কমেছে। তবে গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৫.২৬ শতাংশ আয় বেড়েছে।
এদিকে, গত জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। জুনে এসেছিল ২২০ কোটি ডলার। গত বছরের জুলাইয়ে এসেছিল ২১০ কোটি ডলার। গত জুন ও গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমায় রিজার্ভের ওপর চাপ কিছুটা বেড়েছে। এদিকে বিদেশি বিনিয়োগ ও অনুদানের অর্থ ছাড়ও কমে গেছে।