আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে এবার সুদখোরের নিশানায় পড়ের পথে বসেছে এক প্রতিবন্ধি পরিবার। সুদখোরের কাছ থেকে ঋন নিয়ে এ পর্যন্ত আসলের কয়েকগুন বেশি টাকা পরিধোধ করেও পার পায়নি ওই পরিবারটি। তাদের কাছ থেকে জোর পুর্বক ব্যাংকের সাদা চেক হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে।
জানা গেছে, কেশবপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আবেদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে একই গ্রামের আনন্দ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী চঞ্চলা রণী বিশ্বাস মাসিক ৭ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ৪৫ হাজার টাকা নেন। দুই মাসে সুদের ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বার্থ হলে আমিরুল ইসলাম স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চঞ্চলা রণীর নিকট থেকে জোর পূর্বক একটি সাদা চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তিতে উক্ত চেক ডিসঅনার দেখিয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়িতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এরপর আদালতে এই দরিদ্র পরিবারের বিরুদ্ধে তিন লাখে টাকার মামলা করেন। সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, ওষুধ ব্যবসার আড়ালে আমিরুল ইসলাম একাধিক ব্যক্তিকে সুদের টাকা দিয়েছেন।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমি এগুলো করি তাতে আপনার কি? পুলিশের অনেক অফিসার আমার আত্মীয়, পারলে আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছু করেন”। চঞ্চলা রণী অবিযোগ করেন, তিনি সুদাসলসহ ৭০ হাজার টাকা দিতে চেয়িছিলেন, কিন্তু আবেদ আলী ও তার ছেলে নিতে রাজি হয়নি।
খোকন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, চঞ্চলা রণী পরের বাড়ি কাজ করে খান। তার পক্ষে তিন লাখ টাকা দেয়া সম্ভব না। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এ ভাবে অর্থ আদায় দুঃখজনক ঘটনা। অভিযোগ পেলে দ্রæত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে