অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। ভারত থেকে আমদানীকৃত জিরার শুল্কায়ন দ্বিগুণ করায় বন্দর থেকে পণ্যটির খালাস নেয়া বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। এ পরিস্থিতিতে দাম আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারে দেখা গেছে, সব মসলার দোকানেই জিরা সরবরাহ থাকলেও দাম বাড়তি। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০০ টাকা। এছাড়া কালো এলাচ আগে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম বেড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাদা এলাচ প্রকার ভেদে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শেরেগুল ইসলাম বলেন, ‘ দেশের বাজারে জিরার চাহিদা থাকায় ভারত থেকে আমদানি করে তা মেটাতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতের যে অঞ্চল থেকে জিরা আমদানি করা হয়, সেখানেই এবার জিরার দাম বাড়তি। প্রতি বছর ভারতে যে পরিমাণ জিরা উৎপাদন হয়, এবার বৈরী আবহাওয়ায় তা হয়নি। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে দেশের বাজারে বাড়ছে দাম। এছাড়া ডলার সংকটও দাম বাড়ার পেছনে দায়ী।’
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘আগে বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত প্রতি টন জিরা ১ হাজার ৮৫০ ডলার শুল্কায়ন মূল্য ধরে আরোপিত শুল্ক আদায় করা হতো। সম্প্রতি জিরার বাজারদর বেশি হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্কায়ন মূল্য বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার নির্ধারণ করেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে আমদানীকৃত জিরার খালাস নেয়া বন্ধ রেখেছেন।’