অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : চলতি বছরের জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কারের জন্য আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন চেয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন এমন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করবে সংস্থাটি। আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে এ পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।
বর্ষসেরা অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা—এই তিন শ্রেণিতে পুরুষ ও নারী উদ্যোক্তাদের আলাদাভাবে পুরস্কার দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন। প্রতিটি শ্রেণি থেকে একজন করে উদ্যোক্তাকে পুরস্কৃত করা হবে। এ ছাড়া একটি দেশীয় স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন এমন একজনকে দেওয়া হবে বিশেষ পুরস্কার।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, শুধু উৎপাদন বা সেবামূলক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারা পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ট্রেডিং বা আমদানি ব্যবসা করেন, এমন উদ্যোক্তারা এ পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আগ্রহী উদ্যোক্তারা প্রত্যেকে যেকোনো একটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আবেদনপত্র জমার পর তা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্বাধীন জুরিবোর্ডের মাধ্যমে পুরস্কারের জন্য যোগ্য উদ্যোক্তা বাছাই করা হবে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের হাতে নগদ অর্থসহ ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হবে।
আগ্রহীদের আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২৪ আগস্টের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে বা এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে সরাসরি আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এসএমই ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পাওয়া যাবে।
২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ জন উদ্যোক্তা অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বিশেষ উদ্যোক্তা শ্রেণিতে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৯ জন নারী, ২০ জন পুরুষ এবং ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তা।