সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ক্ষুদ্র সেচ যন্ত্রের পাইপ বোরিং করতে গিয়ে উঠে এসেছে কয়লা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভিড় জমায় এবং উত্তোলিত কয়লা মনের আনন্দে যে যার মতো খুঁটে বাড়িতে নিয়ে যায়।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার তালম ইউনিয়নের নামা সিলোট গ্রামের বাসিন্দা মো. শিহাব উদ্দিন বিএডিসি থেকে একটি ক্ষুদ্র সেচের অনুমোদন পায়। শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী কর্ণঘোষ গ্রামের বোরিং মিস্ত্রি মো. সাইফুল ইমলামের সহায়তায় ওই ক্ষুদ্র সেচের বোরিং করতে থাকা অবস্থায় একশ ২০ ফুট গভীরে পাইপ দিয়ে খনন করার সময় প্রথমে লালচে বালি ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথর উঠার পরপরই উঠে আসে কয়লা।
মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, প্রথমে নরম কয়লা ও পরে মচমচে কয়লা উঠতে থাকার পর আর তারা নিচে খনন করতে পারেননি। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন প্রকারের কয়লাও দেখতে পাওয়া যায।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও পেট্রো বাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.হোসেন মনসুরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, দিনাজপুরে কয়লার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ অঞ্চলে কয়লার অস্তিত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ঘটনাস্থলে খুব দ্রুতই অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।