অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসী আয়ের বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি ঋণের ছাড় ও রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফেরায় ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রিজার্ভ। তবে চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করতে হবে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার। এতে রিজার্ভ কমে আবারও ৩০ বিলিয়নে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৩১.২০ বিলিয়ন ডলার। চলতি সপ্তাহে (৫ জুলাই সম্ভাব্য) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করতে হবে ১.৯ বিলিয়ন ডলার। এতে রিজার্ভ নেমে আসবে ৩০.১১ বিলিয়ন ডলারে।
আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। এ ব্যবস্থায় সংশ্নিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর সুদসহ আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদরদপ্তর। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে চরম আর্থিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা।
সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভে চাপ অব্যহত রয়েছে। এদিকে, আইএমএফের শর্ত মেনে ডলারের বাজারভিত্তিক দর কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাড়বে আমদানি ব্যয়। এর ফলে প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। তাহলে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩.৬১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এই রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। তবে আইএমএফের হিসেবে ব্যবহারযোগ্য যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয়ও মেটানো যাবে না। যদিও সংস্থাটির ঋণ বিতরণের শর্তে উল্লেখ করা আছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলার রিজার্ভে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমপক্ষে ২৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে হতে হবে।