শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে ৫ দিন বন্ধ থাকার পর ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার (২ জুলাই) সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
এর আগে গত ২৭ জুন -১ জুলাই পর্যন্ত টানা ৫ দিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সব ধরনের আমাদানী-রপ্তানী বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে দেশি কাচা ঝালের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দেশি ঝালের দাম অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এতে সারা দেশসহ স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে।
দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাওয়াতে ও কাঁচা মরিচের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভোমরা বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। ১ম দিনে ভোমরা বন্দর দিয়ে ৬ ট্রাকে ৬২ মেট্রিকঃ টন কাঁচা মরিচ প্রবেশ করেছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আমির হামজা জানান,প্রতি টন কাচা ঝালের এলসি মুল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে প্রতি কেজি ঝালের দাম পড়ে প্রায় ৫০ টাকা। দেশে এ ঝাল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বেচা সম্ভব। দু-এক দিনের ভেতরে ঝালের দাম কমে আসবে।
ভোমরা স্থল বন্দর সি.এন্ড.এফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম মাকসুদ খান জানান, ভোমরা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনসহ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সি.এন্ড.এফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের যৌথ মতামতে গত ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত টানা ৫ দিন দুই দেশের বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। ছুটি শেষে আবারো উভয় দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে। রোববার ভোমরা বন্দর দিয়ে ৬ ট্রাক ৬২ মেট্রিক টন কাঁচা ঝাল আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া ৯৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক ষ্টেশনের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। দৈনিক ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ পন্যবাহি ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করে।