অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : দেশের স্থলবন্দর দিয়ে রোববার (২ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত ৫৫ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এছাড়া আর ৯ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির বিপরীতে দেশে এসেছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টন পেয়াজ।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, যে কোনো পণ্যের দাম বাড়লেই বিক্রেতারা ঘাটতির অজুহাত দেখান। কয়েকদিন আগে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর আমদানি শুরু করা হয়েছে। কিন্তু দাম আদৌ কমেনি? আসলে এগুলো সব সিন্ডিকেট। সরকারের উচিত সময় থাকতেই আমদানি শুরু করা। যাতে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়াতে পারে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় ১০ মাস ধরে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশীয় কাঁচা মরিচ দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। কিন্তু তীব্র তাপদাহে খরার কারণে এবার কাঁচা মরিচের ফলন কম হয়েছে। তার ওপর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় মরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
রোববার (২ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেক সবজির দোকানে কাঁচা মরিচই পাওয়া যায়নি। কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ক্রেতার সংখ্যাও একেবারেই নগন্য।
সবজি বিক্রেতা বলেন, কাঁচা মরিচের কেজি ৮০০ টাকা। ক্রেতা এসে ১০ টাকার দিতে বলে। ১০ টাকায় কয়টা মরিচ দেওয়া যায়? তার উপর মরিচের দাম বেশি কেন এ নিয়ে ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে। আমরা যে দামে কিনে আনি সে দামে বিক্রি করি। তাই মরিচ বেচাই বন্ধ রাখছি।
পাশের দেশে ৪০ টাকা কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে। আর আমাদের দেশে ১০০০ টাকা। সরকার মরিচ আমদানি শুরু করলেই দাম কমবে।
দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শুরু হলে দীর্ঘ ১০ মাস পর গত ২৬ জুন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এ পণ্যটির আমদানি শুরুর অনুমতি দেয় সরকার। ওইদিন ৫ ট্রাকে করে ২৭ হাজার ১৬৬ কেজি কাঁচা মরিচ ভারত থেকে দেশে ঢুকে। কিন্তু এর পরদিন অর্থাৎ ২৭ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আবার আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এতেই অস্থির হয়ে উঠে কাঁচা মরিচের বাজার। তবে ঈদের টানা ছয়দিনের বন্ধ শেষ রোববার (০২ জুলাই) থেকে ফের শুরু হয়েছে কাঁচা মরিচের আমদানি। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম কমবে বলে আশা বিক্রেতাদের।