নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৫৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ২৪০ টাকায় বিক্রি হলেও প্রতি কেজি মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। দামের দিক থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে কাঁচা মরিচ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে আকাশচুম্বি দামের কারণে অনেক সবজি বিক্রেতা এখন আর কাঁচা মরিচ দোকানে তুলছেন না।
একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে কাঁচা মরিচের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। খুলনার প্রায় সব বাজারে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মরিচ। এখন সেটি ৮০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের আড়ৎদার বলেন, কয়েকদিন ধরে বাজারে মরিচ নেই বললেই চলে। তার ওপর অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাজারে মরিচ এখন আসছে না। যা আসছে তা নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যাচ্ছে। অধিক দাম নিয়ে বিক্রেতারা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মরিচ বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা বিক্রেতারাও বাজারে সেই দামে মরিচ বিক্রি করছেন।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। এ সপ্তাহে বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কুশি ৬০ টাকা, পটল ৪০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কচু ৭০ টাকা, কচুর মুখি ৭০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী বলেন, খুলনার প্রায় সব বাজারেই এখন সবজির দাম কম। বৃষ্টির পরিমাণ যত বাড়বে সবজির দাম ততই কমবে। তবে এ ব্যবসায়ী বলেন, কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর কেউ মরিচ তুলছেন না। এতো দাম দিয়ে কিনে শেষে লোকসান হতে পারে এ আশঙ্কা বিরাজ করছে।
নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের মুরগি বিক্রেতা মুন্না বলেন, ঈদের কারণে ব্রয়লার কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরদিন আবার ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী ২২০ টাকা, লেয়ার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।