কালো টাকার মালিকদের মিডিয়ার কারণে সাংবাদিক পেশা কলঙ্কিত হচ্ছে ! একটু ভেবে দেখুন দেশে বেশিরভাগ মিডিয়ার মালিক কারা? আর এ সকল মিডিয়ার সাংবাদিক হয়ে সাদাকে সাদা আর কালো কে কালো বলে টিকে থাকা কঠিন। কালো টাকার মালিকদের সিন্ডিকেট এতো শক্তিশালি যে সিংহ ভাগ মিডিয়া তাদের কবজায়। তবে বেশি প্রভাবশালি না হলেও কিছু কিছু মিডিয়া এখনও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। এর মধ্যে নীতিবান সাংবাদিক ও রয়েছে।
বেশ কিছু কারণে মূল ধারার গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে।
যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ও প্রতিবাদ এখন সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই হচ্ছে। এমনকি আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও এটি বড় প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। এখন প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া কি মূল ধারার গণমাধ্যম থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে?
সোশ্যাল মিডিয়া কি মূলধারার গণমাধ্যমের সমান্তরাল কিংবা বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে?
আসলে মানুষের প্রতিবাদ করার সহজ মাধ্যম হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়া দাঁড়িয়ে গেছে। কোন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন তৈরী করে মূল ধারার গণমাধ্যমে প্রকাশ করলেও তার প্রতিবাদ হচ্ছে এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। একজন সাধারণ মানুষ পর্যন্ত মত বিনিময়ের একটা সুযোগ পেয়েছে আর এ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।
সাংবাদিক পেশায় যারা আছেন তাদের ভেবে দেখার সময় এসেছে ঐ সকল কালো টাকার মালিকদের কাছে অস্তিত্ব বিশর্জন দেবেন? নাকি মানুষের আস্থার জায়গায় সাংবাদিক নামটি আবারো পুঃন উদ্ধার করবেন।
অনেকেই বলছেন চাকুরী বাঁচাতে অনেক কিছুই অনিচ্ছাকৃত হলেও মেনে নিতে হচ্ছে। আবার অনেকেই অর্থলোভে নীতি বিসর্জন দিচ্ছেন। আবার কেও কেও নির্লজের মত অতি মাত্রায় তেলবাজিও করছেন।
প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন ফ্রিল্যন্সিং সাংবাদিকতার সুযোগ তৈরী হয়েছে। ঘরে বসেও আপনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাথে কাজ করতে পারবেন। আর তা না পারলে ওই পেশা থেকে সরে আসুন, দয়া করে পেশাটাকে কলঙ্কিত করবেন না।
লেখক: মিজানুর রহমান হেলাল
(সাংবাদিক ও ফ্রিল্যন্সার)