কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে বিগত ১৩ বছরে বিদ্যুৎ খাতে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার (১৩ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎই একমাত্র খাত যেখানে ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সর্বাধিক বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।’
চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন, যেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খনিজ ও জ্বালানি খাতে সঞ্চিত বিদেশি বিনিয়োগ ১৫ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। আমরা আশা করছি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে সঞ্চিত বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী ২০২৪ সালে ৪৬টি গ্যাসকূপ খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে।’
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করে সরকার ‘মিশ্র জ্বালানি’ ব্যবস্থায় যাবে, যেখানে কয়লা, তেল, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”
বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের কথা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণে দায়ী দেশ না হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে সৌর বিদ্যুতের মতো ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৭০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আনার জন্য নেপালের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পাওয়ার গ্রিড লাইন স্থাপন করা হবে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনা হবে।’
বাজেট আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন সরকারি দলের সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপঙ্কর তালুকদার, ওমর ফারুক চৌধুরী, আবদুস শহীদ, এনামুল হক, নুরুন্নবী চৌধুরী, আনোয়ারুল আবেদীন খান, জাফর আলম, সাহীদুজ্জামান খোকন, এইচ এম ইব্রাহিম ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু।