মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন আজ।
শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো প্রচার চালানো যাবে না। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, শেষদিনে জমজমাট প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা রেখেছে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এদিন সবগুলো ভোটকেন্দ্রে অনুশীলন বা মক ভোটের আয়োজন করেছে।
এর আগে, গত ১জুন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কয়েকদিনের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরীর বিভিন্ন এলাকা। চায়ের দোকান, উঠান বৈঠক, মিছিলে স্ব স্ব দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় চলছে রসে ভরা নানা শ্লোগান। সাধারণ ভোটাররা এসব শ্লোগানে মুগ্ধও হচ্ছেন, পাচ্ছেন নির্বাচনী আনন্দও। এই সব আনন্দের শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে।
তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী (মাবু), একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদের মারমুখী প্রচারণায় শঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা।
মূলত এ দুইজনের মধ্যেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।এরা ছাড়াও মেয়র পদে মাঠে রয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়া পার্থ ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. জাহেদুর রহমান।
বিএনপি-জামায়াতের দলীয় কোনো প্রার্থী নেই।
ভোটাররা বলছেন, বিএনপি এবং জামায়াত কোনো প্রার্থী দেয়নি।
আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রক্ষায় শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রর্তীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী করেছেন। আমি অতীতের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বাস রক্ষা করেছি। রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে যেমন পরীক্ষিত, তেমন পৌরসভার কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে পৌরবাসির সেবা করেছি। আমি ৫ বছর মেয়র হিসেবে জনগনের সেবক হতে চাই। ১২ জুন ভোট দিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ বলেন, কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়েছে। আমি এখনো সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কায় আছি । নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলে আমি বিজয়ী হব।
এদিকে, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা গত ৫দিন ধরে শহরের সব জায়গায় অভিযান পরিচলনা করছি। শহরের প্রতিটি অলি গলিতে আমাদের পুলিশের টিম রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেও অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে। আমরা সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই। যে বিশৃঙ্খল করার চেষ্টা করবে সে যে দলের হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮০২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৯ হাজার ৮৭৯ জন ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ৯২৩ জন।