নিজস্ব প্রতিবেদক: সিমেন্ট উৎপাদনকারী ও বাণিজ্যিক আমদানিকারক উভয়ের জন্যই আমদানি পর্যায়ে প্রতি টন ক্লিংকারের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ২০০ টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে সিমেন্ট উৎপাদনকারীরা আমদানি পর্যায়ে প্রতি টন ক্লিংকারের জন্য নির্দিষ্ট শুল্ক হিসেবে ৫০০ টাকা পরিশোধ করলেও আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে ৭০০ টাকা হবে। একইভাবে বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা বর্তমানে ৭৫০ টাকা পরিশোধ করে, যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫০ টাকায়।
সূত্র আরো জানিয়েছে, টেরেফথালিক অ্যাসিড, ইথিলিন গ্লাইকল, হট রোলড স্টেইনলেস স্টিল শীটের কয়েল এবং ম্যাঙ্গানিজ আমদানির উপর কিছু পরিমাণে ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমাতেও চায় সরকার।
আসন্ন বাজেটের লক্ষ্য হলো, সিমেন্ট ক্লিংকারের উপর অতিরিক্ত সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ করে সিমেন্ট খাত থেকে আরও বেশি রাজস্ব আয় করা।
সরকারের নতুন এই পদক্ষেপ নিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সিমেন্ট ক্লিংকারের উপর শুল্ক বৃদ্ধি আদতে সিমেন্ট শিল্পের উপর চাপ সৃষ্টি করবে; যা পরবর্তীতে সম্ভাব্য গ্রাহকদের উপর প্রভাব ফেলবে।
তারা আরও বলেন, সিমেন্ট শিল্প বর্তমানে মোট সক্ষমতার অর্ধেক শক্তি নিয়ে কাজ করছে। অন্যদিকে উৎপাদকরা বাজারের নিজেদের শেয়ার ধরে রাখতে দাম কমানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, কিছু কাঁচামালের উপর ভ্যাট এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) হার কমানো হবে। এতে ইস্পাত নির্মাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে।
কিন্তু সিমেন্ট নির্মাতারা বলেছেন, ভ্যাট ও এআইটি হার কমানোর এই পরিমাণ নগণ্য। উৎপাদন খরচের উপর এটি কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।