মোঃ সোহাগ হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, ঘুষ বানিজ্যসহ বিস্তার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে ওই ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে।
জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি গত ২০১৬ সালে নৌকা মার্কা নিয়ে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তারপর থেকেই শুরু হয় চাল চুরি, টাকার বিনিময়ে সরকারি সেবা দানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড যাত্রা বলে জানান ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
তারা জানান, করোনাকালীন সময়ে সরকার অসহায় লোকজনদের অনুদান হিসেবে ২৫শত টাকা করে দিলেও, সেসব টাকা তার নিজ অত্নীয়- স্বজনের নাম দিয়ে আত্মসাৎ করেন।ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ইউনিয়নের কোনরকম উন্নয়ন তো দূরে কথা পরিষটিওব সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয় নুরুজ্জামান, জিল্লুর ও মাসকুর নাসিরসহ অনেকে বলেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া বিদুমনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের লোহার পুলটি বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে। এছাড়াও টিউবওয়েলর জন্য ৩০ হাজারসহ বিভিন্ন ভাতার জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ওমেশ চন্দ্র বলেন, মুজিব বর্ষের ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু আমাকে ঘরও দেয়নি এবং টাকাও ফেরত দেয়নি।
গাজীপুরা গ্রামের সবিতা রানী বলেন, ঘর দেওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান আমার থেকে ১০ হাজার টাকা নিছিলো।সে ঘর তো দিলোই না, টাকাও পেলাম না। এ ঘটনা নিয়ে গত ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি” দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায়” টাকা দিয়েও ঘর পায়নি সবিতা রানী শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
গাজীপুরা মৃধাবাড়ি মাদ্রদসার সুপার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার নিকট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউনুস প্যাদা বলেন, জমিজমার শালিসির নাম করে আমার থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নেন জাহাঙ্গীর মাস্টার। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কাজ না করে টিয়ার কাবিখা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গত ২০২০ সালের ১০ মে” দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ” মির্জাগঞ্জে টিয়ার, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট শিরোনামে একটা সংবাদ প্রকাশি হয়েছে।
কিন্তু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব মিথ্যা। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোন অনিয়ম করিনি ও কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।আমার নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি চক্র এসব মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে।উল্লেখ, আগামী ২৫ মে এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুব আলম স্বপনের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়।