October 7, 2024 - 1:23 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতক্যাসিনোকাণ্ড: সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

ক্যাসিনোকাণ্ড: সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে পৃথক দুই ধারায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি সেলিম প্রধান ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক বদরুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় সেলিম প্রধান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মানিলন্ডারিং আইনে চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ আর্জনের অভিযোগ দুদক আইনে চার বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই বছরের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত তার নামে মোট ৫৭ কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়।

২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত সেলিমের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে ও ক্যাসিনো খেলে সেলিম প্রধান মোট ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। ক্যাসিনো খেলে অর্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা তিনি পাচার করেছেন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে।

সেলিম প্রধান জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান। এ কোম্পানিতে তার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে এখানে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা। তবে সেলিম প্রধানের নামে শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া গেছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকা। এ টাকা তিনি অর্জন করেছেন অবৈধভাবে। প্রিন্টিং পেপার্স কোম্পানি ২০১০ সালে মুনাফা করে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৩ টাকা। ২০১১ সালে মুনাফা করে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা। এখান থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮ কোটি টাকা ঋণ নেন বলে সেলিম প্রধান তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন। তবে এ কোম্পানি থেকে কীভাবে ঋণ গ্রহণ করেছেন এ সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র নেই তার কাছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ