শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় অজ্ঞান পার্টির সর্দার আবুল খায়ের মিস্ত্রী ওরফে বাবুসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শনিবার রাতে তাদের আটক করা হয়।
রবিবার (৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন ড্রীল সেডে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ফকিরান গৌরিপুর গ্রামের জবেদ আলীর পুত্র বর্তমানে কালিগঞ্জের চৌবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা আবুল খায়ের মিস্ত্রি, সাতক্ষীরা শহরের খানপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র সাগর হোসেন এবং আবুল খায়ের মিস্ত্রির স্ত্রী নব মুসলীম ঊষা রাণী দাস বর্তমান নাম আয়েশা খাতুন।
এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, ডিআইও-১ ইয়াছিন আলম চৌধুরিসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার নেবাখালী গ্রামের শারমিন খাতুনের ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাত চোরেরা চেতনানাশক ছিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এ অভিযোগে শারমিন খাতুন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া ১৩ মার্চ সদর উপজেলার আলীপুর কুলপোতা এলাকার হারান চন্দ্র সরকারের বাড়ীতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ অজ্ঞান পার্টির রহস্য উদঘটনে ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
আবুল খায়ের মিস্ত্রির তথ্যের ভিত্তিতে কালিগঞ্জ থানাধীন তার বাড়ি থেকে ১টি স্বর্ণের আংটি, নগদ ৯ হাজার টাকা, ১ বোতল চেতনা নাশক তরল পদার্থ, ১ কৌটা চেতনানাশক গুড়া পাউডার, ২ বোতল পোর্টেবল গ্যাস রেন্স (গ্রীল ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত হয়) উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে, বাড়িতে কৌশলে প্রবেশ করে তারা স্প্রে ছিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের অজ্ঞান করতো। এরপর গ্যাস রেন্স ব্যবহার করে গ্রীল কেটে বাড়ির সর্বস্ব লুট করতো তারা। তিনি আরো জানান, ওই চক্রটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল আবুল খায়ের মিস্ত্রি। আটককৃত আবুল খায়ের ও সাগর হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানান।