কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
রোববার (২৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পূর্বের শর্তমতে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। গত ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ৬ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে সপ্তমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছিল। সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ষষ্ঠ দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাস ও লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগেও পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার তা নাকচ করে দেয়।