কক্সবাজারের টেকনাফে গোয়েন্দা পুলিশের সাত সদস্যের এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ১৭ লক্ষ টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর চীন এবং মিয়ানমার থেকে কম্বল আমদানি করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করেন।মঙ্গলবার দুপুরে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য তিনি কক্সবাজার শহরে গেলে সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের সাতজন সদস্য জোর করে গাড়িতে নিয়ে যায়।ভোর চারটার দিকে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের গাড়িটি যখন টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ফিরছিল তখন সেনা চেকপোস্টে টাকার বস্তাসহ ধরা পড়ে।
গোয়েন্দা পুলিশের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ নতুন নয়। গোয়েন্দা পুলিশের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।কিন্তু এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
এ সকল পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ হেড কোয়াটারে একটি সিকিউরিটি সেল আছে যারা নৈতিক স্খলনজনিত বা অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন তাদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাও করা যায়।
এছাড়া রয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। তাদের দায়িত্বের মধ্যেও এগুলো পরে। সুতরাং পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধ বা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সেগুলো খতিয়ে দেখা, তদন্ত করা এবং মামলা করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেগুলোকে কার্যকর করতে হবে”।”অপরাধ প্রবণ যেসব এলাকা রয়েছে সেসব এলাকায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাই অপরাধে জরিয়ে যাচ্ছেন কিনা সেটা আগে থেকেই পুলিশ হেড কোয়াটারের সিকিউরিটি সেল এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে খোঁজ নিতে হবে।
পুলিশ সদস্যরা যেখানো অপরাধ দমণ করবেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন, সেখানে তারা নিজেরাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে দেশের সাধারণ নাগরিকরা ভুগছেন আস্থার সংকটে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য, দেশের জনগণকে সেবাদানের ব্রত নিয়ে যাতে গোয়েন্দা পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।