বিনোদন ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে ‘পাঠান’ অবিশ্বাস্য ব্যবসা করে চলেছে। দুদিনে শাহরুখের ‘পাঠান’ সিনেমার আয় ২১৯ কোটি! এরপর বলতেই হয়– কিং খান ইজ ব্যাক! ২০১৮ সালের পরে আবার বড় পরদায় এবং স্বমহিমায়। ‘পাঠান’ প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। ছবিটি নিয়ে দেশ জুড়ে আগ্রহ ছিল। আলাদা করে আগ্রহ ছিল শাহরুখভক্তদের মনেও।
প্রথম ল্যাপের প্রতিক্রিয়া বলছে, শাহরুখ তাঁর ভক্তদের নিরাশ করেননি, নিরাশ করেননি বক্স অফিসকেও। যেন সোনায় ভরে উঠছে বক্স অফিসের বাক্স। প্রথম দিনেই বিশ্ব জুড়ে আয় ছিল ১০৬ কোটি, আর দ্বিতীয় দিনে ১১৩ কোটি! একটা অনুমান ছিলই, প্রথম দিনেই পাঠান ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা করতে পারবে। পরে এটা আর একটু বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫-৫৬ কোটিতে। দেখা যায়, সেটাই ছিল অনেকটা কাছাকাছি পূর্বাভাস। কেননা, জানা যায়, প্রথমদিনে শুধুমাত্র ভারতেই পাঠানের বক্স অফিস কালেকশন ছিল ৫৪ কোটি টাকা! ওপেনিং ডে-তে ভারতীয় ছবির সর্ব সেরা বক্স অফিস কালেকশন।
ট্রেড অ্যানালিস্টরা ভেবেছিলেন, প্রথম পাঁচদিনেই এই ছবি ব্যবসা করে ফেলতে পারে ২০০ কোটি। কিন্তু ছবির মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা যায়, সব রেকর্ড প্রায় ভেঙে দিতে বসেছে এই ছবি। শুধু ভারতেই নয়, ‘পাঠান’ রীতিমতো বক্স-অফিসে কালেকশনের সুনামি এনেছে পৃথিবীর সিনেমাবাজার জুড়েই।
বক্স অফিস ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা পৃথিবী থেকে এই ছবির প্রথম দিনের নেট আয় ছিল ১০০ কোটিরও বেশি। এ যাবৎ ভারতীয় ছবির বক্স অফিসের নিরিখে ইতিহাস। এর আগে কোনও ছবিই প্রথম দিনে সারা বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি আয় করতে পারেনি। ‘আরআরআর’, ‘বাহুবলী টু’, ‘কেজিএফ টু’-কে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন শাহরুখ।
প্রসঙ্গত, ছবি মুক্তির আগেই বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়ে ‘পাঠান’। অনলাইন টিকিট বিক্রিতে ইতিহাস গড়েছে এই ছবি। অগ্রিম বুকিংয়ের পরিমাণ ছিল ২০ কোটি! সকাল ৬টার শো থেকে ঐতিহাসিক অগ্রিম বুকিং ভারতীয় সিনেমার বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙেছে এই ছবি। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবি সারা দেশে ৩৫০০ স্ক্রিনে মুক্তি পায়। এই প্রথম কোনও হিন্দি ছবি একসঙ্গে ১০০টি দেশে মুক্তি পেল। বলতেই হয়, ৪ বছর পরে পর্দায় ফিরে স্রেফ ঝড় তুলে দিয়েছেন বলিউড কিং শাহরুখ খান।
‘পাঠান’ স্পাই এজেন্টের গল্প। এর আগে বড় পর্দায় এ ধরনের ছবি দর্শকেরা ভালোই উপভোগ করেছেন। পাঠান-ও তাঁদের দারুণ ভালো লেগে গিয়েছে। একজন প্রাক্তন আর্মি ম্যানের স্পাই এজেন্ট ‘পাঠান’। তাঁকে ঘিরেই গল্পটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। একেবারে ‘অ্যাকশন প্যাকড’ মুভি। শুরু থেকেই দর্শকের মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি করে দেওয়া এবং সেই উত্তেজনাকে ধরে রাখার ব্যাপারটি ভালো ভাবেই সামলেছেন সিদ্ধার্থ। সূত্র-জিনিউজ।
আরও পড়ুন: