কর্পোরেট ডেস্ক: স্থানীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্ষমতায়ন এবং কনটেন্ট তৈরিতে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইউটিউব ভিলেজে একটি নতুন নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন করেছে গ্রামীণফোন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ভিডিও আপলোড এবং চ্যানেলের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারেন সেজন্য তাদের স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে অপারেটরটি।
টাওয়ারটি উদ্বোধন করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, খুলনার সার্কেল বিজনেস হেড আশফাকুজ্জামান চৌধুরীসহ কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘পথে পথে’ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান সম্প্রতি কুষ্টিয়ার শিমুলিয়ার ইউটিউব ভিলেজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে কথা বলেন; জানার চেষ্টা করেন কীভাবে উদ্ভাবনী উপায়ে তারা ভিডিওর মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি, প্রতিভা এবং দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন। আলোচনায় ডিজিটাল ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্ব পায় এবং গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সংযোগ কী ভূমিকা রাখছে তা উঠে আসে।
অনন্য এই ইউটিউব ভিলেজটি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়াতে অবস্থিত। গ্রামবাসীরা কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যপকভাবে ইউটিউব ব্যবহার করায় গ্রামটি এই সুনাম অর্জন করেছে। ইউটিউবের মাধ্যমে কনটেন্ট শেয়ার করে জীবিকা নির্বাহ এবং নিজেদের আর্থসামাজিক অবস্থান বদলে দিয়েছেন তারা।
ইউটিউব ভিলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল গুটিকয়েক ব্যক্তির হাত ধরে যারা ইউটিউবকে স্থানীয় সংস্কৃতি, প্রতিভা এবং দৈনন্দিন জীবন তুলে ধরার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখেছিলেন। সবুজ মাঠে রান্না করা, নালা ও খালে মাছ ধরার মতো অসাধারণ দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দী করতেন তারা। এভাবে শিমুলিয়া গ্রামের প্রাণবন্ত সব মানুষজন তাদের অনন্যসব অভিজ্ঞতাগুলো তুলে আনেন ইউটিউব স্ক্রিনে। ফলে গ্রামটিই একসময় ‘ইউটিউব ভিলেজ’ নামে পরিচিতি পায়। গ্রামের অনেক বাসিন্দা এখন ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে ভালো আয় করছেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে এমন একটি অভিনব মডেল তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে এবং সেই অর্থ সমাজের কাজে লাগছে- এ ব্যাপারটি ছিল আমার কল্পনারও বাইরে। ‘ইউটিউব ভিলেজ’ একটি অনন্য ধারণা যা আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে ইন্টারনেটের শক্তি মানুষের জীবনকে বদলে দিতে এবং উপার্জেনের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তারা শুধু বিনোদনমূলক কন্টেন্ট তৈরি করছে তা নয়, বরং এর থেকে উপার্জিত অর্থ সামাজিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই উদ্যোগের পেছনে থাকা মানুষগুলোকে আমি সাধুবাদ জানাই। এমন একটি গ্রামে আমাদের নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী করতে নতুন টাওয়ার স্থাপন করতে পেরে আমি আনন্দিত।”