কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে চতুর্থবারের মতো টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট এর ‘টপ এমপ্লয়ার’ বা শীর্ষ নিয়োগকর্তা স্বীকৃতি পেয়েছে বিএটি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে কর্মীদের সার্বিক কল্যাণ, সাসটেইনেবিলিটি ও নেতৃত্বে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো নিশ্চিত করায় ‘গ্লোবাল ও এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন,’ উভয় শ্রেণিতেই এ পুরস্কার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মীদের উৎকর্ষ সাধনে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের স্বীকৃতি প্রদান করে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে ১২১টি দেশের ২,০৫০টি প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করেছে তারা। কাজের পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে এমন উদ্যোগ গ্রহণের প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করতে এ মূল্যায়ন করা হয়।
ইনস্টিটিউটটি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিএটি বাংলাদেশের যেসব বিষয় বিবেচনা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে: ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মী-সংক্রান্ত কৌশল (পিপল স্ট্র্যাটেজি), ক্যারিয়ার ও প্রবৃদ্ধির সুযোগ, কাজ সহজ করে তোলা, কর্মীদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা এবং নিয়োগকর্তার ব্র্যান্ডিং। কর্মীদের পারফরমেন্সের ওপর গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের লিডার গড়ে তোলায় গুরুত্ব দেয় বিএটি বাংলাদেশ। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দেয় এবং কর্মীরা যেনো ব্যক্তি ও টিম হিসেবে সফল হতে পারেন, এমন সহায়ক কর্ম-পরিবেশ তৈরিতে জোর দেয়।
বিএটি বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জনাব সাদ জসিম বলেন, “কর্মীদের সক্ষমতাকে বিবেচনা করে কর্মক্ষমতার প্রবৃদ্ধি ও নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেই। পাশাপাশি, আমরা কর্মীদের জন্য কল্যাণসূচক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরিতেও কাজ করি।”
প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তাদের দক্ষতার বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করে বিএটি বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি এর কর্মীদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরিতে এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের মান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাইজড ও কর্মী-বান্ধব পরিবেশে এর উল্লেখযোগ্য অনুশীলনীগুলোর প্রতিফলন রয়েছে, যেনো মেধাবীদের খুঁজে পাওয়া ও তাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়। কর্মীরা যেনো সবসময় নতুন বিষয় শিখতে পারে, এজন্য নানারকম প্রশিক্ষণের আয়োজন ও অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মে তাদের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করে বিএটি বাংলাদেশ।
এছাড়াও, একটি সুন্দর আগামী বিনির্মানের উদ্দেশ্যে পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) বিষয়ক অনুশীলনী নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে প্রতিষ্ঠানটি।