আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো নেপাল। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে দেশটিতে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৫.৯ ছিল বলে জানিয়েছে নেপালের জাতীয় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের প্রভাব সুদূর দিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) অবশ্য বলছে, নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৬। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জুমলা শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫.২ কিলোমিটার গভীরে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভূমিকম্পের রেশ ছিল প্রায় ২৫ সেকেন্ড। তবে এখন পর্যন্ত এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, নেপালের যে এলাকায় ভূমিকম্পের উৎপত্তি, সেটি উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ বেশি দূরে অবস্থিত নয়। এ ভূমিকম্পের প্রভাব দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশসহ উত্তর ভারতের বহু এলাকায় অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদের মতো জায়গায় জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থলবেষ্টিত পাহাড়ি দেশ নেপাল ভূমিকম্পের সামনে খুবই অরক্ষিত। দেশটিতে ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রবল এক ভূমিকম্পে প্রায় নয় হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর আঘাতে সেসময় দেশটিতে অন্তত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
এছাড়া, গত বছরের ৮ নভেম্বর মধ্যরাতে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণ হারান অন্তত ছয়জন। সেদিন দিনগত রাত ২টা ১২ মিনিটে পশ্চিমাঞ্চলীয় ডোটি জেলায় আঘাত হানে প্রবল ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল খাপতাড ন্যাশনাল পার্কে।
শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পের প্রভাব সুদূর কাঠমান্ডু এবং ভারতের কিছু অংশেও অনুভূত হয়েছিল। এর প্রভাবে ডোটিতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। ভুক্তভোগীদের সবাই ধসে পড়া ঘরের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট, হিন্দুস্তান টাইমস