তিমির বনিক, ষ্টাফ রিপোর্টার: পানি নিঙ্কাশন ও বোরো চাষের সেচের সুবিধার জন্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাঘজুর নালা খননের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য ইয়াবরন এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকরা নালা খননের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
কৃষকরা জানান, পতনউষারের ইয়াবরন মাঠে পানি নিস্কাশন ও সেচের মাধ্যমে বোরো চাষাবাদের একমাত্র মাধ্যম বাঘজুর নালা। বর্তমানে নালাটি ভরাট ও ঝোপজঙ্গলে ভরপুর হওয়ায় পানি না আসায় বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে সঠিকভাবে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে বাঘজুর নালা খনন খুবই জরুরী বলে স্থানীয়দের দাবি। নালা খননের দাবিতে সম্প্রতি এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। মানববন্ধনে স্থানীয় কৃষক আব্বাস খান, ফিরুজ খান, আব্দুল কাদির, মুহিত আলী, মঈনুদ্দিন, আশরাফ খান, নিলু চন্দ্র শীল বক্তব্য রাখেন।
তাঁরা বলেন, প্রায় ১ কি.মি. দৈর্ঘ্য ও ২ থেকে মিটার প্রস্ত বিশিষ্ট এই নালা দিয়ে কয়েক হাজার হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশিত হয়৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এর প্রস্থ এতটাই সরু হয়েছে যে কোনোকোনো যায়গায় এক কদমেই পার হওয়া যায়। এর কারণে বর্ষা মৌসুমে আমন ফসল সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় এবং বোরো মৌসুমে পানির অভাবে চাষ করা যায়না। নালাটি খনন করলে এই বোরো মৌসুমে কয়েক হাজার হেক্টর বোরো চাষ করা সম্ভব।
তারা আরও বলেন, আমারা স্বোচ্ছাশ্রমে নালার ঝোপজঙ্গল ও কিছু মাটি এলাকার একটি কবরস্থানে নেওয়া হয়েছে। এই বনে যাতে বোরোচাষ না হয় এজন্য একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ এনে সংষ্কারের কাজ বন্ধ করে দেয়। পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, বাঘজুড় নালা খননের জন্য আমি উপজেলা সমন্বয় মিটিয়ে উত্থাপন করেছি। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, বাঘজুড় নালা খননের বিষয়ে প্রয়োজনে যথাযত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।