September 20, 2024 - 5:44 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeবিশেষ প্রতিবেদনকর্পোরেট ক্রাইমমিষ্টি খেতে ইবি উপাচার্যকে '১০ লাখ টাকার প্রস্তাব' দিল তরুণী

মিষ্টি খেতে ইবি উপাচার্যকে ‘১০ লাখ টাকার প্রস্তাব’ দিল তরুণী

spot_img

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে ‘১০ লাখ টাকার প্রস্তাব’ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন ঐ তরুণী। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ক্ষুদে বার্তায় ঐ তরুণী লিখেন, ‘স্যার, ১০ লাখ টাকা মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবেনা ইনশাআল্লাহ,আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিলো। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেওয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে। এরপরেই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।

এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। জিডির নম্বর ১০২১। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, পরিচয় কি? কি বিষয়ে কথা বলতে চান? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে। তখন আমি বললাম চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা আমার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন।

আমার ধারণা এটা কোনো একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে। এরা আমার মানক্ষুন্ন করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

উপাচার্য আরও বলেন, আবারও বলছি আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি। যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ