বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং ফরিদপুর ইউনিয়নের রঘুনাদ্দি গ্রামে শশুর বাড়িতে নিজের মেয়ে আনতে গিয়ে শ্যালক জাকির হাওলাদার, মোফাজ্জল, ইলিয়াস হালদারের হাতে হামলায় শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে দুলাভাই ও শ্যালকের সাথে বিরোধ চলছে ।গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টার সময় সৈয়দ আলী সরদারের বাড়ির পশ্চিম পাশে রাস্তার উপর শ্যালক জাকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উৎপেতে থাকে দুলাভাই মিজানুর রহমান সিকদারকে আসার পর অতর্কিত হামলা করে দুলাভাইয়ের সাথে রক্ষিত টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা । পরে লাঠি দিয়ে মাথায় এলোপাতালি আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এক পর্যায় পিঠাতে থাকলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঘটনাস্থলে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে শ্যালকে দুলাভাইকে গুরুতর আঘাত করে ।
খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এসে শ্যালকের হাত থেকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা দেখে। পরে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম খান আবু কে খবর দিলে সে কাকরধা ফাড়ি ইনচার্জ মোশারফ হোসেনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। বাধা অবস্থায় দুলাভাইকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হামলা শিকার মিজানুর রহমানের ছোট ভাই আলিম জানান, আমার ভাইকে তার শ্যালক বিনা কারণে অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করেছে এখন আমার পরিবার এবং আমাকে মামলা হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়া আছে ।
এখন আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি তাই প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাকেরগঞ্জ কাকরধা ফাড়ি ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, মিজানুর রহমানের বউকে তালাক দিলে ওই ঘরে ১২ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে ওই মেয়েকে শশুর বাড়ি আনতে গিয়ে শ্যালকের হাতে গুরুতর আহত হয়। তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করি। এছাড়া দুলাভাই ও শ্যালক দুই জনি গুরুতর আহত হয়েছেন ও চিকিৎসার জন্য দুলাভাইকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঠানো হয় শ্যালকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাকসুদুর রহমান তিনি বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কাকরধা ক্যাম্পের পুলিশ পাঠানো হয়েছে এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।