সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে করতোয়া নদী থেকে গত শনিবার দুপুরে হাত পা বাধা অবস্থায় নিহত শরিফুল ইসলাম(৩২) হত্যা মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) থানা চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(শাহজাদপুর সার্কেল) মো. হাসিবুল ইসলাম।
এর আগে নিহত শরিফুলের মা সূর্য বানু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী উপজেলার চরবেতকান্দি গ্রামের ফখরুলের মেয়ে এবং নিহত শরিফুলের স্ত্রী ফারজানা খাতুন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. হাসিবুল ইসলাম লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ফারজানার এর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল সে সংসার ছেড়ে দেওয়ার পর দেড়মাস আগে শরিফুলের সাথে ফারজানার বিয়ে হয়। কিন্তু শরিফুল শারিরীক ভাবে অক্ষম থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বাবা-মা’কে বললে মানুষ খারাপ বলবে বলে তাহাকে বুঝায়। তখন সে শরিফুলকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কবিরাজের কথা বলিয়া সে বলে শারীরিক সমস্যা ভালো হয়ে যাবে তার জন্য গভীর রাতে হাত-পা বেঁধে নদীর স্রোতের পানি এনে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়ে যাবে। সেই মতে শরীফুল রাজি হই গত সোমবার আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে ফারজানা দুই হাত-পা বেধে দিয়ে নদীতে কিছুটা নেমে গেলে ফারজানা ধাক্কা দিয়ে নদীর পানিতে ফেলে দিয়ে ফারজানা মাথার উপর চাপ দিয়ে পানির মধ্যে ঠাসিয়া ধরে রাখে। যখন শরীফুল নরাচড়া বাদ দেয় তখন তাকে নদীতে ধাক্কা দিয়ে বাড়ীতে এসে শরীফুলের মোবাইল সীম আগুনে পুড়িয়ে ফেলে ও সেট টয়লেটের মধ্যে ফালিয়ে দেয়
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গোপাল চন্দ্র মন্ডল ও থানা পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করে নিহতের স্ত্রী ফারজানাকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতে নেওয়া হলে হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার বিকেলে শাহজাদপুর আমলী আদালতে নিহত শরিফুলের স্ত্রী ফারজানা জবানবন্দি দেয়। শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দী নেওয়ার পর ফারজানাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।