October 7, 2024 - 3:35 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeসারাদেশ ও রাজনীতিসারাদেশসড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের পর মায়ের মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের পর মায়ের মৃত্যু

spot_img

তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু ফাহিদ গাজী (১০)। এ সময় তার মা স্কুল শিক্ষিকা আসমা বেগম চৌধুরী(৩০) সহ কয়েকজন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার দুই দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মারা গেলেন আসমাও।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আসনপুর গ্রামের বাসিন্দা বকুল গাজীর স্ত্রী আসমা ও তাঁদের একমাত্র সন্তান ফাহিদ। নিহত আসমা উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদপাশা এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালিত প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। আর ফাহিদ সদর ইউনিয়নের আসনপুর হোসেনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে স্ত্রী-সন্তান হারানো বকুল গাজী হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, ‘আমার সব শেষ হই গেল। সব হারাইলাইছি।’

বাবুল গাজীর প্রতিবেশী আবু সুফিয়ান সোমবার সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করলে বলেন, এলাকায় বকুলের লোহার যন্ত্রপাতি ঝালাইয়ের একটি দোকান আছে। সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে তিনি শুধু বিলাপ করে চলেছেন। তাঁকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা মিলছে না! সিলেটে নিহত আসমার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে বাড়িতে দাফন করা হয়।

স্থানীয় ও কুলাউড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসমার বাবার বাড়ি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজার এলাকায়। কর্মস্থলও পাশাপাশি পড়েছে। ১২ জানুয়ারি সকালে তিনি ফাহিদকে বাবার বাড়িতে রেখে বিদ্যালয়ে যান। ছুটির পর বিকেলে সন্তানকে নিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিক্স করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় গাড়িতে আরও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। গাড়িটি কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের পুরশাই এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রেবাস সেটিকে সজোরে ধাক্কা মেরে দ্রুত চলে যায়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

খবর পেয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে ফাহিদ মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসমা, গাড়ির চালকসহ সাতজনকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রোববার বিকেল চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমা মারা যান। এদিকে দুর্ঘটনার পর আব্দুল মতলিব নামের আহত এক ব্যক্তির স্বজন বাদী হয়ে মাইক্রোবাসের অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, মাইক্রোবাসের চালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য তাঁরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ