কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: ফোকলোর গবেষক ড. তপন বাগচীর একটি সম্পাদনাকর্ম নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৮ জন ফেলো। তারা লিখিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুইজন ব্যক্তি সাংবাদিক সম্মেলন করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তপন বাগচীর নামে অপপ্রচার করে এ বছর ঘোষিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। এই সংবাদ দেখে আমরা বিস্মিত ও হতবাক।
মঙ্গলবার ১৮ ফেলো স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, তপন বাগচী সম্পাদিত ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ গ্রন্থের সঙ্গে পূর্ববর্তী সম্পাদিত গ্রন্থের মিল নেই। প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র এবং গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা।’
তারা বলেন, তপন বাগচী একজন পরিশ্রমী ও গুণী গবেষক। তাকে ফোকলোর বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় আমরা বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
স্বাক্ষরদাতা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ফেলোবৃন্দ হলেন- বিজ্ঞানলেখক ও শিশুসাহিত্যিক তপন চক্রবর্তী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, ফোকলোরবিদ ড. আবুল আহসান চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ড. হরিশংকর জলদাস, কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক আবিদ আনোয়ার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ঢাকা সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভারসিটি, (নাট্যকার ও অনুবাদ) প্রফেসর আবদুস সেলিম, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি ড. বিমল গুহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, নাট্যকার মলয় ভৌমিক, কবি ও কথাসাহিত্যক ঝর্না রহমান, নাট্যকার ও ফোকলোরবিদ ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যিক ও কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ, প্রাবন্ধিক ও ফোকলোরবিদ ড. স্বরোচিষ সরকার, শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহ, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ ড. রতন সিদ্দিকী, শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ ও কবি ও ফোকলোরবিদ ড. আমিনুর রহমান সুলতান।