গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় আর্থিক লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে সাত বছরের শিশু মারিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে এক পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান।
নিহত মারিয়া আক্তার শেরপুর জেলার নলবাইদ গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে। মারিয়া চান্দনা প্রতিভা মডেল একাডেমী স্কুলে নার্সারীতে পড়াশুনা করতো।
গ্রেপ্তার জুয়েল বরিশালের উলানিয়া গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি চান্দনা বৌ বাজারে হালিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে মারিয়া আক্তার বাসার উঠানে যায়। সন্ধ্যা অতিবাহিত হওয়ার পরও বাসায় ফিরে না আসায় ভিকটিমের মা-বাবা আশেপাশের ভাড়াটিয়া বাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। পরের দিন রাত ৯টার দিকে তেলিপাড়া এলাকার হযরত আলী ড্রাইভারের মালিকানাধীন জমির ঝোপঝাড়ের ভেতর অজ্ঞাত নামা শিশুর মৃতদেহ দেখে লোকজন বাসন থানা পুলিশকে সংবাদ দেয় এবং ভিকটিমের মা বাবা মৃতদেহ তাদের মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের পাশে বাসার ভাড়াটিয়া জুয়েলকে গতরাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
উপকমিশনার আরও বলেন, আর্থিক লেনদেন নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে জুয়েল কৌশলে মারিয়াকে তেলিপাড়া এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত উপকমিশনার খায়রুল আলম, সহকারী কমিশনার ফাহিম আসজাদ সহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।