স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান বিপিএলের নবম আসরে ঢাকা পর্বের মতো চট্টগ্রামেও ম্যাচে জাকের আলী অনিকের এলবিডব্লিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হেড কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
আম্পায়ারিং ও এডিআরএস নিয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শঙ্কা প্রকাশ করেই বলেছিলেন, ‘কিছু বলতে পারব না… সাসপেন্ড করে দেবে।’ তারপরও অনেক কথাই বলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ। তার ২৪ ঘণ্টা পরই নেমে এলো শাস্তির খড়গ।
আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করায় জরিমানা করা হয়েছে সালাউদ্দিনকে। বিসিবির আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। সঙ্গে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচের নামের সঙ্গে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ শেষে কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন যে মন্তব্য করেছেন, তা বিসিবির কোড অব কনডাক্টের লেভেল-২-এর আর্টিকেল ২.৭ বিরোধী। তাই শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘কোচ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনফিল্ড আম্পায়ার ডেভিড মিলনস, মোর্শেদ আলী খান সুমন, থার্ড আম্পায়ার তানভির আহমেদ এবং চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান স্বপন অভিযোগ আনেন। ফলে সালাউদ্দীন তার দোষ ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কাছে স্বীকার করেছেন। তাই আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।’
আইসিসির ডিআরএস-এর নিয়ম অনুযায়ী, ফরচুন বরিশাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচে জাকের আলী অনিকের এলবিডব্লিউ কোনোভাবেই আউট হয় না। কিন্তু আইসিসির নিয়ম পরিবর্তন করে বিসিবি তাদের বাইলজে নতুন নিয়ম যুক্ত করে। কিন্তু পরিবর্তনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোয় প্রশ্ন উঠছে।
সেদিন ম্যাচ শেষে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে কোচ সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘সবাই খালি চোখে দেখলো ওটা আউট নয়; কিন্তু টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউট দিলেন। আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। কারণ আমাদের হাত-পা বাধা।’
আরও পড়ুন: