কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : বছরের প্রথমদিনে জেলায় বই উৎসবে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়েছে। বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত বই উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বছরের প্রথমদিনে এই বই উৎসব বাংলাদেশের জন্য বড় দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর কোনো দেশে এমনটি নেই। বাংলাদেশে এত উৎসবের ভিড়ে এ উৎসবটি একদম ব্যতিক্রম। একসময় ধার করে বই পড়তে হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্যমতে, ফেনীতে মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থী ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৮৫ জন এবং মাদরাসায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫ জন। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের মোট চাহিদা ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৩৯২টি। মোট প্রাপ্তির হার ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে মাধ্যমিকে শতভাগ বই না আসলেও জেলায় প্রাথমিকের শতভাগ বই এসেছে। বছরের প্রথমদিনেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই হাতে পাচ্ছেন বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, প্রাথমিকে জেলায় মোট বরাদ্দকৃত বইয়ের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৩টি। তারমধ্য সব বই ইতোমধ্যে জেলার ৫৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে। ফেনীর ৬ উপজেলায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৩টি বইয়ের মধ্যে সদর উপজেলায় বরাদ্দকৃত বই ২ লাখ ৬৯ হাজার ২৩৮টি, দাগনভূঞায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৬১টি, সোনাগাজীতে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২০০টি, ছাগলনাইয়ায় ৫৭ হাজার ৩৪টি, পরশুরামে ৩৯ হাজার ৫৫০টি ও ফুলগাজীতে ৫৫ হাজার ৬৪০টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সকল স্কুলে বছরের প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে। প্রাথমিকের কারিকুলামে খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও ভেতরে কিছু-কিছু পাঠ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে পুরাতন বই দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সকল শিক্ষার্থী নতুন বই পাচ্ছে। খবর বাসস।
ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ১৫০ জন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যরা বই পেয়েছে।আশাকরি ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিগগিরই বই পাবে।