স্বাস্থ্য ডেস্ক: দাঁতের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। দাঁতের মাড়ির সমস্যার পাশাপাশি আরও একটি সমস্যা হলো ক্যাভিটি। শিশু এমনকি বয়স্কদের দাঁতেও দেখা যায় ছোট ছোট কালো গর্ত। দাঁতের শক্ত জায়গায় যে ছোট ছোট গর্ত হয়, সেগুলোকেই বলে ক্যাভিটি। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। প্রতিবার খাওয়ার পর অনেকেই দাঁত পরিষ্কার করেন না। ফলে দাঁতের মধ্যে খাবার জমতে থাকে। মিষ্টিপ্রেমীদের দাঁতে সবচেয়ে বেশি ক্যাভিটি হয়ে থাকে। আর প্রথমদিকেই ক্যাভিটির চিকিৎসা না করা হলে ক্ষয় আরও বাড়তে থাকে। দাঁতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া প্লাক নামক একটি পুরু স্তর তৈরি করে। এ স্তর দাঁতে ক্ষয় সৃষ্টি করে। স্ট্রেপ্টোকোকাস মিউট্যানস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দাঁতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই দাঁতের ক্যাভিটি টের পেলে চিকিৎসা শুরু করুন। চাইলে ঘরোয়া উপায়েই ক্যাভিটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
জেনে নিন করণীয়-
১. দাঁতের ক্যাভিটি থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন-ডি খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে নিয়মিত।
২. দাঁতের যে স্থানে ক্যাভিটি হয়েছে, সেখানে লবঙ্গের তেল দিনে ২-৩ বার লাগালে ব্যথা কমবে। কারণ লবঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। একটি তুলায় এক বা দুই ফোঁটা লবঙ্গ তেল নিয়ে দাঁতের গর্তে লাগান। তেল ভিজিয়ে রাখলে ব্যথা উপশম হয়।
৩. মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন খালি পেটে এক টুকরো রসুন খেতে হবে। রসুন দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কারণ এটি ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়।
৪. লেবুতে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড। যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। খাওয়ার পর কয়েক মিনিট লেবুর টুকরো চিবিয়ে খেলে দাঁতের ক্ষয় রোধ হয় ও হজমেও সাহায্য করে।
৫. পেয়ারা পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা ক্যাভিটি প্রতিরোধে উপকারী। এজন্য ফুটন্ত পানিতে পেয়ারা পাতার গুঁড়া মিশিয়ে মাউথ ওয়াশের মতো ব্যবহার করুন।
৬. গ্রিন টি মুখের ভেতরের প্লাক রোধে দারুণ উপকারী। ভালো ফলাফলের জন্য গ্রিন টির সাথে লেবুর রস ও মধু যোগ করুন।
৭. দাঁতের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে এক গ্লাস গরম পানি। খাওয়ার পরপরই মিশ্রণটি দিয়ে গার্গল করুন। লবণ পানি দাঁতের আঠালো ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
নিপাহ ভাইরাস: খেজুরের কাঁচা রস পরিহার করুন