বরিশাল:
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় রামেরকাঠি গ্রামের মো: আলমগীর হোসেন নামে এক স্থানীয় ব্যাক্তির বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ শারমিন জাহান বর্তমানে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। মো: আলমগীর হোসেন উজিরপুর উপজেলার রামেরকাটি গ্রামের মৃত আমজেদ হোসেন বেপারীর ছেলে। স্বামীর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার শারমিন জাহান উজিরপুর থানায় গতকাল অভিযোগ করে উল্লেখ করেন, আমি একজন হেলথ কেয়ারে চাকরি করি।
আমার বিগত ৮ বছরের পৃবে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় । এখন আমার সংসারে ১ জন ছেলে সন্তান রয়েছে । আমার স্বামী আমার বেতনের টাকা নিয়ে নিজের ইচ্ছেমত খরচ করে । বিবাহের পর হইতেই আমার স্বামী ও আমার শাশুড়ির সহযোগীতায় টাকা পয়সাসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করিত । আমি তার প্রতিবাদ করিলে আমার স্বামী আমাকে মারধরসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমর্কী প্রদর্শন করে । এই বিষয় গুলো স্থানীয় ভাবে শালিশ মিমাংসা করতে চাইলে পুনরায় আমাকে মারধর করে । আমার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারিলে আমার স্বামী ও শাশুড়ীকে ৭০ লাখ টাকা ।
সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারী সকাল সায়ে ১১ টায় আমি ও আমার স্বামী ঢাকা হইতে আমাদের বসত বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমার বেতনের টাকা আমার স্বামী দিতে বলে । আমি আমার স্বামীর কথায় রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী আমাকে অকথ ভাষায় গালিগালাজ করে । আমি আমার স্বামীকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে এলোপাথালী কিল ঘুষি চর থাপ্পর মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা জখম করে । এ সময় আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয় মৃত আ: হান্নান হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও মো : জহিরুল ইসলামের ছেলে সুজন হাং সহ আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থালে আগাইয়া আসিলে আমার স্বামী উপস্থিত লোকজনের সন্মুখে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলিয়ে যায় । স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখন আমার স্বামী ও আমার শাশুড়ির অত্যাচারে ও হুমকিতে আমি সহ আমার আমার পরিবার নিরাপক্তাহীনতায় ভুগিতেছি । এখন আমার স্বামী ও আমার শাশুড়ির অত্যাচার ও হুমকীতে যে কোন সময় টাকা পয়সার জন্য আমার উপরে ও আমার পরিবারের ক্ষতি করিতে পারে ।
এমন অবস্থায় আমি আইনি সহযোগিতা চাই ।এ বিষয়ে জানতে মো: আলমগীর হোসেনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। উজিরপুর মডেল থানার তদন্ত ওসি মো: জাফর আহম্মেদ বলেন, ওই গৃহবধূ অসুস্থ অবস্থায় থানায় এসেছিলেন। তাকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এখন তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তদন্ত অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।