নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। তার সঙ্গে এখন তো নির্বাচনের সময়। তারা ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আমরা পাইলটিং করেছি। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে। বইগুলোকে পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আমরা মনে করি এ বইগুলো আরও পরিশীলন, পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে। সে জন্য সকলের পরামর্শ গ্রহণ করছি।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক ছাড়া) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের ৮শ’র বেশি বিশেষজ্ঞ নতুন শিক্ষাক্রম তৈরীর জন্য কারিকুলাম প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, সবাইকে কোনও না কোনভাবে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে রেখে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিছু পরামর্শসহ তিনি তাতে অনুমোদন দিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এমন একটা যুগ পার করে এসেছি, যেখানে পরীক্ষার হল থেকে বের হলেই অভিভাবকরা জিজ্ঞাসা করতেন ‘কয়টা প্রশ্ন কমন পড়েছে?’। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেশি কমন প্রশ্ন বলে দিতে পারতেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সেরা বলা হতো। আমরা সেই মুখস্তনির্ভর পড়া থেকে বের হতে চাই।
বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানো প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, বই পড়ার অভ্যাসকে আমরা একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে চাই। আমরা প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস কার্যক্রম শুরু করছি। আগামী ১-২ বছরে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম পৌঁছে দিতে চাই।
অনুষ্ঠানে সারাদেশে ৩১ লাখ বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির আওতায় দেশের ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব বই বিতরণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এ কর্মমসূচি বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।