নিজস্ব প্রতিবেদক: পদত্যাগের বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের পদত্যাগের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এই বিষয়ে কথা বলবেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি আমি নির্বাচন করব। তবে কোন আসন বা দল থেকে করব সে বিষয়ে পরে জানাব।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, উপদেষ্টা পদে থেকে নির্বাচন করা উচিত নয়। যদিও আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আমি নিজেও সেটা প্র্যাকটিস করবো।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমি তো একটা সিস্টেমের মধ্যে আছি, আমাকে সেটা ফলো করতে হয়।
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি হ্যাঁ অথবা না- এরকম সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, এটা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরো বলেন, তিনি আজ সকালে তার সম্পদ বিবরণী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাখিল করেছেন। পাশাপাশি তার কূটনীতিক পাসপোর্টও বাতিল করেছেন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তরের আগে আসিফ মাহমুদ তার দায়িত্ব পালন করা মন্ত্রণালয় কী কী কাজ করেছে তা লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন সরকারে জায়গা পান। এর মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় পান। আসিফ মাহমুদ প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা, পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মাহফুজ আলম শুরুতে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হন।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতাদের উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যাত্রা শুরু হলে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দলটির আহ্বায়ক হন। এরপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হন মাহফুজ আলম।
আরও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা বৃহস্পতিবার: ইসি সচিব
রায়পুরার চরাঞ্চলে সংঘাত বন্ধে কম্বিং অপারেশন করা হবে: স্বরাষ্ট উপদেষ্টা
আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা


